অনলাইন ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে আটক নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার সময় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন যুবদলকর্মী নিহত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবদলকর্মীর মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল বিকেলে মাঝিপাড়া এলাকায় সংঘর্ষ ও গুলি করার ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মামুন ভূঁইয়া (৩৫)। তিনি রূপগঞ্জের ভুলতা মাঝিপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর ভাই বাদল ভূঁইয়া ভুলতা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। মামুনও যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক ফারুক।
কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান। বাদল হোসেন মোস্তাফিজুর পক্ষের অনুসারী ও জায়েদুল মাহবুবুর পক্ষের অনুসারী। স্থানীয়ভাবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জায়েদুলের সঙ্গে বাদলের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ আছে।
এ বিষয়ে বাদল ভূঁইয়া আজ বুধবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, জায়েদুলের চাচা মাহবুবুর রহমান জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক। জায়েদুল নিজেও ছাত্রদল নেতা। চাচার প্রভাবে ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এলাকার ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডারদের আশ্রয় দিয়ে তাঁদের সব অস্ত্র নিজের হাতে নিয়েছেন জায়েদুল। এলাকায় তিনি ‘বাবু বাহিনী’ গড়ে তোলে মাদক ও চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গতকাল এলাকাবাসীর হাতে আটক ওই ছাত্রলীগ নেতা (সাব্বির) বাবু বাহিনীর ক্যাডার।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত জায়েদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শুনেছি ছাত্রলীগের সাব্বিরকে লোকজন ধরছিল। সেখানে গোলাগুলি হইছে। কিন্তু আমি সেখানে ছিলাম না৷ আমি বাসায় ছিলাম।’
জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (‘গ’ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম জানান, গুলির ঘটনায় গতকাল রাতেই মামুনের ভাই বাদল ভূঁইয়া বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। এতে জায়েদুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির মৃত্যু হওয়ায় মামলাটি হালনাগাদ করা হবে। আসামিদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়েছে।
সূত্র: প্রথম আলো অনলাইন
মুক্তির প্রত্যাশা মিডিয়া ,কপিরাইট © মুক্তির প্রত্যাশা - সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Leave a Reply