নিজস্ব প্রতিবেদক: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘গবেষণা উৎসব-২০২৫’।
রবিবার (১৮ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের কনফারেন্স কক্ষে দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। “রিসার্চ ফর কোস্টাল রেজিলিয়েন্স” প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এ উৎসবের পেছনে মূল উদ্যোগ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মামুন-উর-রশিদ। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মাসুমা হাবিব, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান এবং সিনিয়র অধ্যাপক মো. হামিদুর রহমান।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
উৎসবে ইউজিসির বিশেষ অনুদানে ২০২২–২৩ অর্থবছরের আওতায় পাঁচটি অনুষদের ১০টি গবেষণা প্রকল্প এবং রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের ২টি বিশেষ প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়। দিনশেষে নির্বাচিত গবেষণাসমূহ নিয়ে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ ও একটি সাংগঠনিক প্রতিবেদন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গবেষণায় অবদান রাখা গবেষকদের সম্মাননা স্মারক, ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মাসুমা হাবিব বলেন, “আমরা একটি জ্ঞাননির্ভর ও মর্যাদাসম্পন্ন রাষ্ট্র গড়তে চাই। দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। আশা করছি, পবিপ্রবি শিগগিরই ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষকরা কেবল ক্লাসরুমেই সীমাবদ্ধ থাকবেন না বরং নিয়মিত গবেষণার মধ্য দিয়ে জাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন। অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমাদের শিক্ষকরা যে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন, তা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক।”
প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞানচর্চা ও সৃজনশীলতার কেন্দ্র। গবেষণা কার্যক্রম নিয়মিত চালিয়ে যাওয়া এবং তা শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব শিক্ষক ও গবেষকদের।”
মুক্তির প্রত্যাশা মিডিয়া ,কপিরাইট © মুক্তির প্রত্যাশা - সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Leave a Reply