মাইন উদ্দিন
স্টাফ রিপোর্টার
গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ছোট্ট মুরাদ। বয়স মাত্র ৯ বছর। অজানা কারণে হারিয়ে গিয়েছিল বাবা-মার মায়ার ঘর থেকে। চারপাশ অচেনা, অজানা। আর তাই বগুড়া শহরের ব্যস্ত চারমাথা এলাকায় একা একা দাঁড়িয়ে মুরাদ তখন শুধু কান্নায় ভেঙে পড়েছে।
এই হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সাক্ষী হন স্থানীয় যুবক মোঃ শাহাদাত হোসেন, যিনি শাজাহানপুরের সিপি কোম্পানিতে চাকরি করেন। মুরাদের চোখের জল আর ভীত কণ্ঠে কিছুই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল না। খোঁজ-খবর নিয়ে কোনো সুরাহা করতে না পেরে মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে তিনি শিশুটিকে সাথে নিয়েই ছুটে যান শাজাহানপুর থানায়।
থানায় নিয়ে আসার পর পুলিশ সদস্যরা পুরো বিষয়টি অত্যন্ত আন্তরিকতা ও সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করেন। শিশুটির পরিচয় আর ঠিকানা জানতে রাতদিন এক করে দেন কর্মকর্তারা। বহু চেষ্টা আর অনুসন্ধানের পর জানা যায়, শিশুটির নাম মুরাদ, বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। পিতার নাম লাভলু মিয়া।
শাজাহানপুর থানার পুলিশ সদস্য ও স্থানীয়দের নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টায় শিশুটি অবশেষে ফিরে পায় তার হারানো ঠিকানা। মায়ের কোলে অক্ষত ফিরে আসে নয় বছরের ছোট্ট মুরাদ। সন্তানের মুখের হাঁসি আর চোখের অশ্রু দেখে বাবা-মার ম্লান মুখে তখন যেন ফের সূর্যের আলো।
শিশু মুরাদের ঘরে ফেরা প্রমাণ করে—একটু মানবিকতা, কিছুটা সহমর্মিতা আর একটুখানি আন্তরিকতাই পারে অসহায় মুখে হাঁসি ফোটাতে। শাহজাহানপুর থানা পুলিশের এই মানবিক দৃষ্টান্ত তাই মানুষের মনে নতুন আস্থার আলো ছড়িয়ে দিল।
মুক্তির প্রত্যাশা মিডিয়া ,কপিরাইট © মুক্তির প্রত্যাশা - সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Leave a Reply