নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়া শহরের সিববাটি এলাকায় ১৪ বছরের এক কন্যাকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় সাকিল নামে এক যুবককে বাসা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে সংঘটিত এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় অভিযুক্ত জিতু ইসলাম ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা এবং দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে রাতেই তাকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলীয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জিতু ইসলাম স্বেচ্ছাসেবক দল বগুড়া জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি নেতাকর্মীদেরকে তার সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে অভিযুক্ত জিতু ইসলামের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, সিববাটি এলাকার এক কিশোরীর বাল্যবিয়েতে আপত্তি জানানোয় শনিবার দুপুরে ওই কিশোরীর পিতা সাকিলকে তার বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বিকেলে শহরতলীর ফুলবাড়ী নদীর ঘাট এলাকায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। ঘটনার পর জড়িত থাকার অভিযোগে জিতু ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বাসির জানিয়েছেন, জিতু ইসলাম ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে এবং জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মুক্তির প্রত্যাশা মিডিয়া ,কপিরাইট © মুক্তির প্রত্যাশা - সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Leave a Reply