অনলাইন ডেস্ক: বর্তমানে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে, যেখানে ইরান ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালিয়েছে।
জানা গেছে, গত কয়েক ঘণ্টায় ইরান ইসরায়েলের দিকে ১০০টিরও বেশি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে, যা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ভূপাতিত করার চেষ্টা করছে।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের শুক্রবার (১৩ জুন) সকালের তথ্য অনুযায়ী, ইরান থেকে ছোড়া এই ড্রোনগুলো ইসরায়েলের ভূখণ্ডে পৌঁছাতে কয়েক ঘণ্টা সময় নেবে।
সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে, যখন ইসরায়েল 'অপারেশন রাইজিং লায়ন' নামে ইরানে হামলা শুরু করে। এই অভিযানে ইহুদিবাদী সেনারা রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র এবং আবাসিক স্থাপনায় পাঁচ দফা হামলা চালিয়েছে।
এই হামলার ফলে ইরানের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি এই হামলায় নিহত হয়েছেন। এছাড়াও, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, জ্যেষ্ঠ দুই পরমাণুবিজ্ঞানী ফেরেইদুন আব্বাসি ও মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি, এবং খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদও নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছেন যে, এই হামলার মূল লক্ষ্য হলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং সামরিক সক্ষমতাকে নিষ্ক্রিয় করা। তিনি আরও বলেছেন যে, যতক্ষণ না মিশনটি সম্পন্ন হয়, ততক্ষণ এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।