বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে দায়ের করা যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম আগামীকাল বুধবার সকালেই মুক্তি পাবেন বলে আশা করেছেন তার আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
মঙ্গলবার বিকালে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, “ইনশাল্লাহ আশা করি আগামীকাল সকালে (৯-১০টা) জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম ভাই পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পাবেন।”
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (আগের নাম পিজি) কার্ডিয়াক ব্লকে চিকিৎসাধীন আছেন আজহারুল ইসলাম।
কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার এ কে এম মাসুম জানান, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কার্ডিয়াক ব্লকে চিকিৎসাধীন আছেন আজহারুল ইসলাম। আদালতের আদেশের নথিপত্র পেলে কারা কর্তৃপক্ষ পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন ফ্যাসিবাদের দোসর আইনজীবীরা। আপিল বিভাগও সেই সাজা বহাল রেখেছিল। যদিও পটপরিবর্তনের পর সেইসব আইনজীবী গা ঢাকা দিয়েছেন।
জুলাই অভ্যুত্থানে সরকার বদলের পর আজহারের রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে আপিল শোনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার সেই রায়ে তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার আদালত বলেছেন, আর কোনো মামলা না থাকলে আজহারকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। সেজন্য তার আইনজীবীদের আবেদনে খালাসের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আদেশও প্রকাশ করেছে আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ সাত বিচারপতির বেঞ্চ মঙ্গলবার বিকালে তিন পৃষ্ঠার ওই সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করে।
বেঞ্চের অন্য ৬ বিচারক হলেন— বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি ইমদাদুল হক, বিচারপতি মো. আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন জানিয়েছেন, ওই সংক্ষিপ্ত আদেশ এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হয়ে কারাগারে গেলেই মুক্তি পাবেন জামায়াতের শীর্ষ নেতা এটিএম আজহার।